কাশিয়ানী প্রতিনিধি:- মিয়ানমার মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, এটি এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই চাচ্ছে বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে পায়ে পাড়া দিয়ে রাজনৈতিক উস্কানী দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বই খাতা দিলে হবে না। শুরু থেকেই বাচ্চাদের গড়ে তুলতে হবে। মূল নীতি নৈতিকতা পরিবার থেকে শিখতে হবে, এক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভূমিকা রয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার এম এ খালেক ডিগ্রী কলেজ মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরো বলেন, মাদক এখন আকাশ, নৌপথ দিয়ে এবং মিয়ানমার থেকে বেশি আসছে। এটি পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। আমরা জাল ফেলে রেখেছি, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় গ্যাংস্টারকে জালের মধ্যে ফেলেছি, আমরা কিছু করতে পারবো। মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনো মূল্যে মিয়ানমার রুট বন্ধ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যদি মাদক চলে যায়, এটা একটা জাতিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। ভারতীয় সিমান্ত নিয়ন্ত্রণ করা হলেও মিয়ানমার, ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন মাদক সমানে পাচার করছে। মাদক নিয়ন্ত্রনে সামাজিক আন্দোলন ও অল আউট অ্যাকশনে যেতে হবে। গডফাদার, কিশোরগ্যাং কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
আলোচনা সভা শেষে ২০২৩ সালের কাশিয়ানী উপজেলার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ১০৯ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট ও জন প্রতি ১০ হাজার করে বৃত্তির টাকা তুলে দেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।